বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
কলার চাষে আগ্রহ বাড়ছে পাহাড়ের কৃষকদের। পাহাড়ের জুম চাষের কারনে একই জমিতে প্রতিবার অন্যন্য ফল সবজি চাষ সম্ভব না হলেও কলার চাষ করা হয় বারোমাস। আবহাওয়ার অনুকূলে থাকায় এবং বিগত কয়েক বছরের অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলার চাষ করে লাভ বেশি পাওয়ায় দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছেন রাঙামাটির নানিয়ারচরের স্থানীয় কৃষকরা।
কলা চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে এই পাহাড়ি জনপদের পরিবারগুলো। তাদের উৎপাদিত কলা যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। এতে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আসছে পাহাড়ে।।
পাহাড়ের উচু সূর্যের আলোতে ও নানিয়ারচর উপজেলার বেশিরভাগ জমি দোআঁশ মাটি হওয়ায় ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবং উপজেলার ঘিলাছড়ি, সাবেক্ষং, বুড়িঘাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কলা চাষ বেশি হয়। এবার উপজেলায় ৩’৫৪০ হেক্টর জমিতে হয়েছে কলার চাষ।
উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের রাবার বাগান এলাকার কলা চাষি মূকূল ধন চাকমা বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি এবং শ্রমিক খরচ অনেক কম হওয়ায় লাভবান হওয়া যায় কলা চাষে, কলার চাষ বাড়লেও পাহাড়ের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলের দূর পাহাড় হতে বাজারে আনায়ন করে উপপযুক্ত দাম মিলছে না চাষীদের।
বুড়িঘাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মোঃসোলাইমান জানায় এ বছর লাভের আশায় ২০০ চারা কলার চাষ করেছেন তিনি। বড় আকারের কাধি প্রায় ৩০০-৪০০ টাকা ও মাঝারি ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে,পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে এসে কলা নিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নানিয়ারচর উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ-মেজবাহ্ উদ্দিন জানান,নানিয়ারচর উপজেলায় চলতি অর্থ বছরে প্রায় ২০ টন বিভিন্ন জাতের কলার উৎপাদন হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অফিস হতে কলা বাগান পরিদর্শন ও ব্যাগিং করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নানিয়ারচর উপজেলা আনারস চাষে বিখ্যাত এর পাশাপাশি কলার চাষ এই উপজেলায় বেশি চাষ হচ্ছে। এ বছর উপজেলায় এই অর্থ বছরে আনারস আবাদ হয়েছে ১’১৫০ হে. জমিতে আর কলার ৩’৫৪০ হে.জমিতে।