রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:-
কাপ্তাই হ্রদের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় এলাকাবাসীর বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে শহরের শান্তিনগর এলাকায় বুলডোজার দিয়ে ৩টি দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর স্থানীয় বাসীন্দাদের বাঁধার মুখে ওই অভিযান বন্ধ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমা বিনতে আমিন। এসময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুমা বেগম, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম খান, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযানে দেখা গেছে, সকাল ১১টার দিকে শহরের ফিশারী ঘাট সংলগ্ন শান্তিনগর এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অবৈধ ৩টি দোকান উচ্ছেদের পর এলাকাবাসী উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে উচ্ছেদ অভিযানকারীদের বাঁধা দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে লোকজনের বাঁধার মুখে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম বলেন, কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চলামন প্রক্রিয়া। গতকালও আসামবস্তীতে উচ্ছেদ করেছি এবং আজকেও আমরা ফিশারী ঘাট এলাকায় উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় অংশ নিই। আমরা চেষ্টা করছি যাতে লোকজনের যানমালের ক্ষতি না হয়। অবৈধ দখলদারদের যেভাবে পারি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট আমাদেরকে রুল জারি করেছে। কয়েকদফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে কাপ্তাই হ্রদের অবৈধ দখল উচ্ছেদ। আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গতকালও উচ্ছেদ কার্যক্রমে প্রশাসনের কর্মকর্তারা স্থানীয়দের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আজকেও একই অবস্থা। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ আমাদের জন্য অবশ্যই পালনীয়। এসময় সকলের সাথে আলাপ করে পরবর্তী অভিযানের সিদ্ধান্ত ঠিক করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান জেলা প্রশাসক।