কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ এই অনুমতি দেয়নি বলে জানায় সংস্থাটি। আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেন, ‘আমরা আর সময় নষ্ট করতে পারি না। মানুষের জীবন হুমকির মুখে।’
২০১৪ সাল থেকে দোনেৎস্কের রুশ-সমর্থিত কর্তৃপক্ষ কারাগারটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারটির পরিস্থিতি খুবই নাজুক।
গত জুলাইয়ে কারাগারটিতে রকেট হামলা হয়। এতে বেশ কয়েকজন ইউক্রেনীয় বন্দী নিহত হন। হামলার জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরকে দোষারোপ করে।
কিয়েভের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্যাতন-হত্যার মতো অপরাধের প্রমাণ নষ্ট করার জন্যই কারাগারটিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে রুশ কর্তৃক। তবে মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ইউক্রেনই কারাগারটিতে রকেট হামলা করেছে।
কারাগারটিতে বন্দী ব্যক্তিদের মধ্যে ইউক্রেনের আজভ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা আছেন। এই বাহিনীর সদস্যরাই মারিউপোল শহর রক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের নব্যনাৎসি ও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।
আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেন, আইসিআরসিসহ অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কারাগার পরিদর্শনের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন তিনি। আগামী সোমবারের মধ্যে কারাগারটি পরিদর্শনের দাবি জানান তিনি।
টেলিগ্রামে আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেন, কারাগারটি পরিদর্শনের আয়োজন এখনো কেন করা হয়নি, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কারাগারটি পরিদর্শনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে ইউক্রেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে একই আহ্বান জানান। তিনি আইসিআরসির বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, গত আগস্টে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কর্মকর্তারা যেভাবে রাশিয়া অধিকৃত এলাকায় গিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেছিলেন, ঠিক একইভাবে দোনেৎস্কের কারাগার পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
জেলেনস্কি বলেন, আইসিআরসি কারাগার পরিদর্শনের কাজটা করতে পারে। কিন্তু তা করার জন্য চেষ্টাটা থাকতে হবে।
গত মাসে আইসিআরসি মহাপরিচালক রবার্ট মারডিনি বলেন, ওলেনিভকা কারাগারে প্রবেশের অনুমতি পেতে রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।