নানিয়ারচর(রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধি:-
সংকটের মধ্যে সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যবই সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে সব সংকট কাটিয়ে অবশেষে আড়ম্বরপূর্ণভাবে সারা দেশে বছরের প্রথম দিন আজ রবিবার (১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে পাঠ্যবই উৎসব। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয়েছে উৎসব আয়োজন।
সকালেই নানিয়ারচরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বই বিতরণ উৎসবটি উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা। এসময় আরও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: নুরজামাল হাওলাদার, ২নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাপ্পি চাকমা। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা অংহ্লাপ্রু মারমা,সরওয়ার কামাল,ইসলামপুর দাখিল মাদ্রাসায় উদ্বোধনে ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম ও গ্রাম পুলিশ আবু হানিফ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা বলেন,ডলার ও সংকট দাম ঊর্ধ্বমুখী, ছাপা সরঞ্জামের বাড়তি মূল্য লোডশেডিং, গ্যাস সংকটের কারণে বই উৎসব নিয়ে অনিশ্চয়তার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে এসব পাশ কাটিয়ে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যবই। নানিয়ারচর ছাড়াও দেশের সকল উপজেলায় বই পৌঁছে গেছে। পৌঁছে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও।
আমি জানি নতুন শ্রেণিতে নতুন বই পাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। সে বই যদি বিনামূল্যে পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। এর মধ্যে এক ধরনের সার্বজনীনতাও রয়েছে। কেননা দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের অনেকেরই নতুন বই কেনার সামর্থ্য থাকে না। তারা আগে পুরনো বই দিয়েই বছর পার করত। এখন সবার হাতেই নতুন বই। তাই উৎসবমুখর পরিবেশে সর্বস্তরের শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথমদিনে পাঠ্যপুস্তক উৎসবটির আনন্দ আলাদা।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বক্তব্যে বলেন, টানা ১১ বছর ধরে বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়- শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি সরকারের অন্যতম ভালো কাজ নিঃসন্দেহে। কোনো কোনো বছর বই প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বটে, তবে উদ্যোগটি যে মহৎ এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি আরো বলেন,বিনামূল্যের বই বিশেষত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র অভিভাবকদের জন্য এক বড় ধরনের স্বস্তি। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ সহায়তায় তাদের আর্থিক কষ্টের বোঝা অনেকটাই লাঘব হবে নিঃসন্দেহে। আমাদের বিশ্বাস, শুধু বিনামূল্যের বই নয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও অনেক কিছু করার আছে। শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়াসহ প্রাথমিক শিক্ষার অন্য সমস্যাগুলোর যদি প্রতিকার করা যায়, তাহলে এ দেশের নতুন প্রজন্মের শিক্ষার ভিতটি শক্তভাবে গড়ে উঠতে পারবে, যা একটি জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।