মো: নাজমুল হোসেন রনিঃ-
ইউএনও মোঃ ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে (১৮ই অক্টোবর) মঙ্গলবার দুপুরে বুড়িঘাটের মংখোলা, নিচপুলি পাড়া এলাকার চেঙ্গী নদীতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার সদস্য এবং গণ্যমান্যদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে।
বুড়িঘাট ইউনিয়নের নিচপুলি পাড়া,মংখোলা এলাকার চেঙ্গী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফজলুর রহমান বলেন, পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষায় আমাদের সবাইকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। নানিয়ারচরে আমার কর্মরত এলাকায় অবৈধ ড্রেজার ও বালু উত্তলোন কারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে নানিয়ারচর থানার ওসি সুজন হালদার জানান,অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ও বসত-বাড়ির পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যর হুমকির মুখে পড়তে পারে।নদী থেকে নিয়মবহির্ভূত বালু উত্তোলন করার কারণে পরিবেশ প্রতিবেশ ব্যবস্থা বিনষ্ট হচ্ছে। ড্রেজারের প্রপেলারের আঘাত, নির্গত পোড়া মবিল ও তেলের কারণে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণিজ সম্পদ বিলুপ্তপ্রায়। বিপন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় না,আগের মত মাছ পাওয়া এখন ভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে পতিত জমি নষ্ট হওয়ার মূখে,পাহাড়ি ঝরনা থেকে প্রবহমান হওয়ায় জলবায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তন ও অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর স্বাভাবিক গতি হারিয়ে যাচ্ছে।নানিয়ারচর থানা অবৈধ বালুউত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করে আসছে।
অন্যদিকে নানিয়ারচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে কাপ্তাই লেকের নদীর তলদেশ থেকে ওঠানোর জন্য সরকারি কোনো আদেশ বা কোনো নিয়ম নেই। এ ছাড়া ড্রেজার থেকে নির্গত মবিল নদীর পানিতে মিশে মাছ ও জলজ প্রাণির ক্ষতি হচ্ছে। নদীর তলদেশ থেকে পাথর উত্তোলনের ফলে নিচের মাটি সরে যাচ্ছে।