মো:ইসমাইল, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা:-
গ্রামাঞ্চলের মাটির রাস্তাগুলি পরিণত হচ্ছে ইটের রাস্তা-য়। যা ধীরে ধীরে গ্রামকে করছে উন্নত। অথচ বর্তমান যুগে এসে রক্ষণাবেক্ষণ আর পরিচর্যার অভাবে ইটের তৈরি ইট সোলিং রাস্তা এখন বালু-মাটি’র রাস্তা-য় পরিণত হয়ে যাচ্ছে।
বলছিলাম খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সদর ইউপি-র ৪নং ওয়ার্ডের হেডম্যানটিলা এলাকার কথা। পানছড়ি সাব জোন পেরিয়ে খানিকটা এগিয়ে গেলে ইসলামপুর এলাকার ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে গ্রামটি। তবে রাস্তার মুখ থেকেই যেন বাঁধা বিপত্তির শুরু। পুরো রাস্তার ইট দু-পাশে সরে গিয়ে দেখা দিচ্ছে মাটিকে। আর তাতেই প্রতিদিনই যেন গাড়ি উল্টে পড়ে যাচ্ছে খাঁদে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর অভিযোগের যেন শেষ নেই।
এই রাস্তা ধরে হেডম্যানটিলা, যৌথখামার, তেতুলটিলাসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামে যাতায়াত করতে হয়। ব্যবসায়িক কেন্দ্রকে ঘিরে গ্রামে চলে একাধিক যানবাহন। তাছাড়া এই পথ ধরে যৌথখামার এলাকায় রয়েছে বিজিবি’র ফায়ারিং ক্যাম্প। এদিকে আবার অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে গেলে রাস্তার কারনে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় বলে জানায় এলাকাবাসী। রাস্তার এমন করুণ দশা দেখে আজ থেকে ৫ মাস তেতুলটিলা এলাকার আব্দুল মান্নান গাছে গাছে লাগিয়ে দিয়েছেন রাস্তার সতর্কবাণী। তবুও যেন প্রশাসনের নজর কাঁড়ছে না।
ঐ এলাকার বাসিন্দা অটোচালক মো: উমর ফারুক জানান, সকাল-বিকাল এ রাস্তায় চলাচল করতে হয় আমার। আর প্রায়সময় এক্সিডেন্ট করি। এতে আমার গাড়ির যন্ত্রাংশের সমস্যা হয়। শুধু আমার গাড়িই না, বাইক থেকে শুরু করে সবকিছুই এক্সিডেন্ট হয় প্রতিদিন। আমি নিজ উদ্যোগে ভাঙা জায়গায় মাটি দিয়ে ভরাট করেছি তবুও প্রশাসন কেন কাজটি করছে না তা আমার জানা নেই।
এছাড়াও আনোয়ার হোসেন জানায়, ইউপি সদস্য মো:ইউসুফ কে একাধিকবার বলার পরেও করবে করবে বলে আজ ৪ মাস হয়ে গেলো কিন্তু এখনো রাস্তার কাজ ধরে নি। তবে কবে করবে এ কাজ?
বিষয়টি ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো:ইউসুফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কাবিখা” প্রকল্পের আওতায় কাজটি করানোর জন্য জেলায় প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশাকরি খুব তারাতারিই কাজটি শুরু করা হবে।