রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:-
রাঙ্গামাটি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ তরিকুল ইসলাম পিএসসি বলেছেন, শুধু সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত নয়। দেশের যেকোন দুর্যোগ এবং আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদাই যখনি সরকারের প্রয়োজন পড়েছে এই বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উদযাপনের শুভলগ্নে মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নিবেদিত প্রাণ ও অকুতোভয় সদস্যরা এদেশের ৪৪২৭ কিলোমিটার সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানসহ সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধ এবং অন্যান্য সকল ধরনের নারী পাচার, শিশু পাচার, মাদকদ্রব্য পাচারসহ বর্ডার সংক্রান্ত অনিয়ম অত্যান্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দিন রাত নিরলসভাবে কাজ করে প্রতিহত করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বিজিবিকে একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ভিশন-২০৪১ প্রণয়ন করেছেন। এই ভিশনের আওতায় বিজিবির সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তি, জনবল বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নসহ সকল ক্ষেত্রে যুগোপযোগী উন্নতি সাধনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এসময় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে রাঙ্গামাটি ডিজিএফআই এর কর্ণেল মোরশেদ আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা বিনতে আমিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান দুর্গেস্বর চাকমা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারউল হক, আরটিভি রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ইয়াছিন রানা সোহেল সহ বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২২৭ বছরের বীরত্ব ঐতিহ্যবাহী একটি সুশঙ্খল আধা সামরিক বাহিনী। যা শুরু হয়েছিল রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে মাত্র ৪৪৮ জন সদস্য নিয়ে ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন। ২০১০ সালে ২০ ডিসেম্বর বর্ডার গার্ড আইন-২০১০ এর অনুমোদন সাপেক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ হিসেবে এই বাহিনী নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সে দিন থেকেই প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।