নাজমুল হোসেন রনিঃ-
বেগম রোকেয়া দিবস (৯ ডিসেম্বর)। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর এদিন সারাদেশের সাথে নানিয়ারচরে দিবসটি পালন করা হয়েছে।
দিবসটির মাধ্যমে বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও নারী শিক্ষার প্রসারে তার অবদান আমাদের নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
নানিয়ারচরে নারীদের উন্নয়নে অবদান রাখায় এবার বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন পাঁচ নারী। এরা পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন, সফল নারী জননী ক্যাটাগরীতে পেয়েছেন সাফ জয়ী নারী ফুটবলার রুপনার মাতা কালা সোনা চাকমা,অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরীতে পেয়েছেন আমেনা আফরোজ তুলি,শিক্ষা ও চাকুরীতে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন প্রত্যাশা চাকমা,সমাজ উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন বাসন্তি চাকমা,নির্যাতন বিভিষিকা মুছে ফেলে নতুন জীবন শুরু করা ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন আকলিমা বেগম, এসময় উপজেলা মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রধান অতিথি প্রগতি চাকমা উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।
উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোনও প্রচলন ছিল না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারের সবার অগোচরে তার বড় ভাইয়ের কাছে উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি পড়তে ও লিখতে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে তার ভাই ও বড় বোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পরে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মারা যান।
এসময় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, বিশেষ অতিথি মো: নুরজামাল হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা মল্লিক, নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ সুজন হালদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া, সরওয়ার কামাল ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সহ সরকারি দপ্তরের ব্যক্তিবর্গ।