নিজস্ব প্রতিনিধি:-
নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমার মমতা আর ভালোবাসায় প্রাণে বেঁচে গেল বিরল প্রজাতির এক গুইসাপ। প্রায় ২ কেজি ওজনের গুইসাপটিকে উদ্ধার করেন।
জানা গেছে, বুধবার সকালে নানিয়ারচর বাজার এলাকায় পাহাড়িদের হাতে ধরা পড়ে গুইসাপটি।
গুইসাপটি দেখতে তামাটে লালচে বর্ণের। এ ধরনের গুইসাপ সচরাচর এই এলাকায় এখন আর দেখা যায় না। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছুটে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিরা এবং তাঁরা এই গুইসাপটি না মেরে বনে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। পরে সেটি একটি নেটের বাক্সে বন্দি করে বনবিভাগ কর্মকর্তার হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গুইসাপটি উদ্ধার করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, প্রাণীর প্রতি মায়ার কারণে আমরা গুইসাপটিকে মারতে না দিয়ে সেটিকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অর্জুন দেব নাথ বলেন, গুইসাপ পরিবেশবান্ধব ও মানুষের জন্য অনেক উপকারী একটি প্রাণী। একে আমাদের বাঁচিয়ে রাখা দরকার।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজামাল হাওলাদার বলেন,গুইসাপ মানুষ এবং পরিবেশবান্ধব একটি প্রাণী। ময়লা নোংরা, বিষাক্ত পোকামাকড় এবং ইঁদুর ও বিষাক্ত সাপ খেয়ে এরা বেঁচে থাকে। এতে মানুষ অনেকটা নিরাপদে বসবাস করতে পারে। গুইসাপ মিঠা এবং লবণ পানিতে বসবাসের উপযোগী একটি উপকূলীয় প্রাণী। তবে এটি বর্তমানে অনেকটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, না বুঝে এটিকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। আবার গুইসাপ মেরে টাকার লোভে চামড়া বিক্রি করা এবং অনেকে এটির মাংস খাওয়ার ফলেও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।