নিহার বিন্দু চাকমা, রাঙ্গামাটিঃ-
“সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা” এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সততা শেখাতে রাঙ্গামাটি পাবলিক কলেজের ব্যতিক্রমী ‘সততা স্টোর’ উদ্বোধন করা হয়েছে। যা স্টোরে থাকবে না কোনো বিক্রেতা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় শহরের আসামবস্তি নারিকেল বাগানে অবস্থিত রাঙ্গামাটি পাবলিক কলেজে এ স্টোর উদ্বোধন করা হয়। এর আগে কলেজের হল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবীর।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আল মামুন মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরীন সুলতানা, রাঙ্গামাটির দুদকের সহকারী পরিচালক আহম্মেদ ফারহাদ হোসেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মুকুল কান্তি ত্রিপুরা প্রৃমূখ। এসময় কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অতিথিরা বলেন, কলেজ পর্যায়ে সততা স্টোর নেই তবুও আমাদের এটাই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে সততার পরিচয় দেয় সেজন্যে মূলত রাঙ্গামাটি পাবলিক কলেজে সততা স্টোর স্থাপন করা হয়েছে। সততা স্টোর কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, অল্প মূল্যে ছোট ছোট জিনিস দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সততার চর্চা, মূল্যবোধের চর্চা, নৈতিকতার চর্চা এবং সৎ পথে চলার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের এ প্রচেষ্টা।
অতিথিরা আরও বলেন, কলেজে স্থাপিত সততা স্টোরে শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন পণ্যে দাম লেখা থাকবে, যা কোনো বিক্রেতা থাকবে না। কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কোন অবুঝ নয়, প্রত্যেকের বিবেকবোধ আছে। এভাবে শিক্ষার্থীরা সততার পরিচয় দিয়ে ভবিষ্যতে দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন অতিথিরা।
রাঙ্গামাটিতে কলেজের মধ্যে এই প্রথম পাবলিক কলেজের একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ব্যতিক্রমী ‘সততা স্টোর’। যেখানে পাওয়া যাবে পেন্সিল কাটার, জেল কলম, কাঠ পেন্সিল, মাস্ক, ক্লিপ বোর্ড, ইরেজার, বলপেন, ফ্লুইড, রিং খাতা, মিনি টিস্যু প্যাকেট, নোট বুক, পেন্সিল বক্স, ফাইল, টিউব গাম, পেন্সিল ব্যাগ আচার, চাটনী এনার্জি বিস্কুট, ড্রাইকেক, বিস্কুট, সেন্টার ফ্রুট, পিনাট চকলেট, মিস্টার টুইস্ট চিপস, পটেটো চিপস, চিজ পপ, ঝালমুড়ি, ডাল ভাজা, সিঙ্গারা, পিয়াজু ইত্যাদি। থাকবে না কোনো বিক্রেতা। দোকানের পাশে টাঙানো রয়েছে পণ্যের মূল্য তালিকা, ক্রয় রেজিস্টার খাতা ও টাকা জমা দেয়ার ক্যাশ বাক্স। শিক্ষার্থীরা নিজে নিজেই পণ্য নিয়ে এই বাক্সে ভাংতি টাকা জমা দিতে পারবেন।