হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, রাজস্থলীঃ-
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলার মেইন সড়কের দুটি বেইলি সেতু দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের সাথে রাজস্থলী উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মূল সড়ক এটি। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা কাপ্তাই এবং রাঙ্গুনিয়ার সাথেও এই একই সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রায় ২০ বছর পূর্বে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শফিপুর ও রাজস্থলীর কাপ্তাই খাল এলাকার দুইটি বেইলী সেতু এখনও পর্যন্ত মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা।
পর্যটন উপজেলা কাপ্তাই ও সীমান্ত সড়কের পর্যটকবাহী পরিবহনের চাপ, কাঠ-বাঁশ এবং এলাকায় উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রায়শই সেতু দুইটির দুইদিকে যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। যার কারণে অতি দ্রুত এই অস্থায়ী বেইলী সেতুর পরিবর্তে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
২০২০ সালের মাঝামাঝি কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক ৩নং বাঙ্গালহালিয়া শফিপুরের বেইলী সেতু পার হতে গিয়ে পাটাতন ভেঙ্গে পড়ে যায় নদীতে। সে সময় লিচুবাগান, বাঙ্গালহালিয়া, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটিসহ সারাদেশের সাথে রাজস্থলী উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
আপদকালীন সংস্কার করে বেইলী সেতুটি আবারও চালু হলেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এখনও কমেনি।
সংকীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ সেতুর উপর ভারী পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার হতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে।
একই অবস্থা রাজস্থলীর কাপ্তাই খাল এলাকার বেইলী সেতুরও। রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্য অনুসারে জানা যায়, রাঙ্গামাটি, চন্দ্রঘোনা ও কাপ্তাই রাজস্থলী সড়কে প্রতিদিন কয়েক শত ভারী ও হালকা যানবাহন যাতায়াত করে। যার অধিকাংশই সীমান্ত সড়কে পাথর বোঝাই, ইট বোঝাই, কাঠ-বাঁশ ও কৃষিজ পণ্যবাহী পরিবহন। বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত বেইলী সেতুর পরিবর্তে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের দাবি পরিবহন চালকদের।
রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-অর্থনৈতিক পাইপলেন হিসেবে পরিচিত চন্দ্রঘোনা, রাইখালী, রাঙ্গামাটি রাজস্থলী সড়ক প্রশস্তকরণ ও সেতুর আধুনিকায়নের দ্রুত বাস্তবায়ন চায় স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, রাজস্থলী চন্দ্রঘোনা সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী সেতু দ্রুত সড়িয়ে সেতু নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন ।
এ বিষয়ে তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে বিস্তারিত আলাপ করবেন বলে জানান।